বান্দরবানের লামায় ২০২১ সালে মন্দির ভাংচুরের ঘটনায় অভিযোগ এনে বিএনপি-জামায়াতের শত শত নেতা-কর্মীকে এলাকা ছাড়া করা হয়েছিল। বর্তমানে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু তাহের মিয়া, আবু ইউসুপ রায়হান ও শিক্ষক মাওলনা শামছুদ্দোহাসহ অসংখ্য নিরীহ মুসলনামনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও, আরও অনেক রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে, অভিযোগ রয়েছে যে, আওয়ামী লীগের প্রশান্ত ভট্টাচার্য, শোয়াইব, জহিরসহ আরও অনেকে এই ষড়যন্ত্রের মূল পরিকল্পনাকারী বলে মনে করছেন। প্রশাসনের নাকের ডগায় তারা ঘুরে বেড়ালেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। স্থানীয়দের মতে, এটি একটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ঘটনা, যেখানে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন করতে মিথ্যা মামলা ও হয়রানির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেছেন, কেন প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারী প্রশান্ত ভট্টাচার্য ও উল্লেখিত ষড়যন্ত্র কারীদরর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? কেন প্রশাসন নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে? এ নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে উচ্চ আদালতে রিট করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার ও আর্থিক লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্তরা। এছাড়া, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চলছে। প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হোক। মিথ্যা মামলার শিকার ব্যক্তিদের ন্যায়বিচার দেওয়া হোক। প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা হোক। এটাই জনগণের প্রকৃত দাবী। অন্যথায়, জনগণের ক্ষোভ আরও তীব্র হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন কতটা কার্যকর পদক্ষেপ নেয়।