ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নৃশংসতা চলছেই। গত কয়েকদিনের ইসরায়েলের বর্বর হামলার নৃশংসতা অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ইসরায়েলি সেনারা সেখানকার শিশু নারী বৃদ্ধসহ সকল শ্রেনির হাজার হাজার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করছে। আহত হচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ। তাদের কান্নায় এবং নিহতদের লাশের গন্ধে গাজার আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। গাজায় এ বর্বর হামলায় বিশ্ব মানবতা আজ ভূলুন্ঠিত। ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ঘটনার প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশেও নানা শ্রেনি-পেশার মানুষ নিজ নিজ অবস্থানে থেকে গাজায় ইসরায়েলের এই হামলার নিন্দা জানিয়ে আসছেন।
এর প্রভাব পড়েছে শোবিজ অঙ্গনেও। গাজায় হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন শোবিজ তারকারা। ঢালিউড কিং শাকিব খান, তুখোড় অভিনেতা মিশা সওদাগরসহ বহু তারকা এ নিয়ে তাদের অনুভূতি শেয়ার করেছেন। আলাপকালে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন অনেক তারকা। তারা জানিয়েছেন, এ যুদ্ধ বন্ধ হোক। শান্তি ফিরে আসুক গাজার বুকে।
গাজাবাসীর ওপর নির্মম নির্যাতন বন্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও উত্তাল। সেখানেও নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন জনপ্রিয় তারকাগন। মেগাস্টার শাকিব খান নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গাজায় হামলার ঘটনায় মর্মাহত হয়ে লিখেছেন, ‘গাজা শুধু একটি ভৌগোলিক নাম নয়, এটি যেন আজ নির্যাতিত মানুষের প্রতীক! দুঃখজনক হলেও বাস্তবতা হচ্ছে, সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া আর কিছু করতে না পারা! তাদের পাশে আছি ভালোবাসা, সংহতি, আর শান্তির প্রত্যাশায়।’
চিত্রনায়ক আফরান নিশো লেখেন, ‘গাজায় চলমান সহিংসতা, শিশুহত্যা ও সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ দেখে মন ভেঙে যাচ্ছে। মানবতার পক্ষে কথা বলা আমাদের সকলের দায়িত্ব। যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই। ধর্ম, জাতি বা ভৌগোলিক অবস্থান নির্বিশেষে যেকোনো নিরীহ মানুষের ওপর নিপীড়ন বন্ধ হোক। গাজার মানুষগুলোর কান্না যেন আমাদের বিবেক নাড়িয়ে দেয়। সহিংসতা কখনোই সমাধান হতে পারে না। আমরা চাই না আর কোনো শিশু বোমার শব্দে ঘুম ভাঙুক। গাজায় শান্তি ফিরিয়ে আনুন।’
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও খল অভিনেতা মিশা সওদাগর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে সব থেকে দুর্বল ইমানের মুসলিম মনে হয় আমরাই।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৭ মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৫০ হাজার ৫২৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৩৮ জন। আর গাজার জনসংযোগ কার্যালয়ের হিসাবে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০। তাঁদের মধ্যে নিখোঁজ ফিলিস্তিনিরাও রয়েছেন।