রবিবার, জুন ৮, ২০২৫
spot_img

কয়লাবিদ্যুৎ এলাকায় নদী ভরাট : সরকারি জমি থেকে বালি বিক্রির হিড়িক

মোহাম্মদ কাইছার হামিদ : সরকারের মেগাপ্রকল্প মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রে লাগোয়া কোহেলিয়া নদীভরাট সরকারী জায়গা থেকে বিক্রি হচ্ছে দৈনিক শতশত গাড়ীভর্তি বালি। এতে সরকার হারাচ্ছে। অন্যদিকে ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা পূর্বপার্শ্বে নবনির্মিত ব্যয়বহুল ব্রিজ সংলগ্ন সড়ক পশ্চিম পার্শ্বে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভাউন্ডারী ওয়াল।

২৪ মার্চ সোমবার কক্সবাজার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ এর পূর্বপার্শ্বের ভাউন্ডারী ওয়াল ও কোহেলিয়া নদীর উপর নবনির্মিত দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ সংলগ্ন লাগোয়া সড়কের পশ্চিমে নদীভরাট সরকারী জায়গা থেকে দৈনিক শতশত গাড়ীভর্তি বালি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। অন্যদিকে সরকারও হারাচ্ছে রাজস্ব।

সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ঘুম না ভাঙ্গায় জনমনে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়। প্রত্যেক্ষদর্শীদের ভাষ্য সরকারী জায়গা এভাবে দিনদুপুরে সরকারী নদীভরাট জায়গা থেকে বালি বিক্রি করা মানে পালিত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমল! কিন্তু এখনতো তা নয়। তারা আরো জানান মীর আকতার নামীয় একটি কন্ট্রাক্টশন কোম্পানী নদী ভরাট করে সড়ক নির্মাণ কার্যে ওই জায়গাগুলি ব্যবহার
করছিলো।কার্য শেষে সেখান থেকে তাদের সবধরণের মালামাল সরিয়ে নিয়েছে। সেসুবাদে ওই কোম্পানীতে কর্মরত কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ডিসপ্লে দিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে ৩টা পর্যন্ত স্ক্রেভেটার সহকারে একটি প্রতাপশালী মহল অবৈধভাবে বালি বিক্রি করে টাকাগুলি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ প্রত্যেক্ষদর্শীদের। উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক তাদের লাগাম নিমিষেই টেনে ধরা দরকার মনে করেন তারা।

অন্যদিকে ওইস্থানের উত্তরপার্শ্বে একই কায়দায় বালি বিক্রি এবং সরকারী জায়গা দখল-বেদখল নিয়ে ছাবের আহমদ এবং মাসুম নামক ব্যক্তির সমর্থকদের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ সংগঠিত হয়েছিলো। ওই ঘটনায় আহত ব্যক্তি এখনো পঙ্গুত্ব জীবন যাপনের উপক্রম। ওই অবস্থায় মীর আক্তার কোম্পানীর পরিচয় দানকারী ফরিদ নামক ব্যক্তি জানান তারা অফিসিয়ালভাবে বালিগুলি বিক্রি করছেন।

এদিকে পরিবেশবাদী আব্দুস ছালাম ওরআবু বক্করসহ অনেকেই দাবী তুলেন নদীভরাট এসব সরকারী জায়গা বাগানের উপযোগী। এতে বাগান করলে পরিবেশের ভারসাম্য অনুকূলে রইবে। অন্যথায় দখল-বেদখল নিয়ে খুনখারাপি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। যার দরূন যে কোন মুহুর্তে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটবে। মহেশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দ্বীপক ত্রিপুরা জানান, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

- Advertisement -spot_img
  • সর্বশেষ
  • পঠিত

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত