সোমবার, অক্টোবর ২৭, ২০২৫

অস্ত্র বিক্রির অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল পুলিশ হেফাজতে

মোহাম্মদ বেলাল হোছাইন, চট্টগ্রাম ব্যুরো :  সাতকানিয়ায় অস্ত্র কেনাবেচার অভিযোগ ওঠায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে সিএমপি। গতকাল বিষয়টি প্রকাশ করা হয়। তবে তাকে ১৫ মার্চ শনিবার নগরের কোতোয়ালী থানায় আনা হয় বলে পুলিশ সূত্র জানায়। অভিযুক্ত কনস্টেবলের নাম রিয়াদ। তার বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নে। অস্ত্র বেচাকেনা সংক্রান্ত তার কয়েকটি অডিও ভয়েস ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ার পর তাকে হেফাজতে নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

শনিবার (১৫ মার্চ) তাকে নগরের কোতোয়ালি থানায় আনা হয়। এরপর থেকে সিএমপির একটি টিম তাকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানা যায়। মোহাম্মদ রিয়াদ সবশেষ চাঁদপুর জেলা পুলিশে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি কক্সবাজার র‍্যাবে ছিলেন।

গত ৩ মার্চ দিবাগত রাতে সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকায় নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেক নামে দুজন জামায়াত কর্মীকে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা।

এ ঘটনা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আছে। এক পক্ষ বলছে তারা সদলবলে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউ পি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মানিকের উপস্থিতির খবর পেয়ে তাকে তুলে আনতে গেলে মানিকের লোকজন মসজিদে ডাকাত এসেছে বলে ঘোষণা দিয়ে লোকজনকে উত্তেজিত করে নেজাম ও ছালেককে হত্যা করে। অপর পক্ষ বলছে নেজাম ও ছালেককে পরিকল্পিতভাবে বিচারের মধ্যস্থতার কথা বলে ডেকে নিয়ে রাতের অন্ধকারে হত্যা করা হয়।

হত্যাকান্ডের পর নিহত নেজামের ক্ষত-বিক্ষত লাশের পাশ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করে পুলিশ। ওই অস্ত্রটি ঘটনার সময় কে ব্যবহার করেছে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে অস্ত্রটি কোতোয়ালি থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

এদিকে, কোতোয়ালি থানার অস্ত্র কিভাবে সাতকানিয়ায় গেল তা নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এরপর পুলিশ কনস্টেবল রিয়াদের কয়েকটি অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে। এসব অডিও ক্লিপে রিয়াদকে বলতে শোনা যায়, “আসসালামু আলাইকুম, অ্যাঙ্কেল। এটি নিবেন। এটিতে ৩০ পিস গুলি দেওয়া যাবে। পার পিস ৩ হাজার টাকা করে দিতে হবে।”
অডিওতে অস্ত্রটির দাম সাড়ে ৫ লাখ টাকা চাওয়া হয়। তবে কথোপকথন কার সাথে হয়েছিল তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত