রবিবার, জুন ৮, ২০২৫
spot_img

দেশবিরোধী চক্রান্ত জনগণ কঠোর হস্তে দমন করবে : মাওলানা মামুনুল হক

নিউজ ডেস্ক :  কেউ দেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত হলে দেশের জনগণ তা কঠোর হস্তে দমন করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেন, একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর আমরা আস্থা রাখতে চাচ্ছি। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের আগামী বিনির্মাণের লক্ষ্যে সংস্কারের ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যে উদ্যোগকে দলমত নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক পক্ষ স্বাগত জানিয়েছে এবং এখন পর্যন্ত সবাই সহযোগিতা করে যাচ্ছে। সংবিধানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে আমরা আশা করছি আগামী বাংলাদেশে বহুদল ও মতের সম্মিলনে একটি সহনশীল রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে ওঠবে।

তিনি শুক্রবার বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস আয়োজিত ইফতার মাহফিলে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন। রাজধানীর পল্টনে ফার্স হোটেল এন্ড রিসোর্টসে রাজনীতিবিদ, কূটনীতিবিদ, উলামায়ে কেরাম ও বিশিষ্টজনদের সম্মানে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে আগত অতিথিবৃন্দকে স্বাগত জানিয়ে পরিচয় করিয়ে দেন দলের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ।

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, আজকে একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন পরিবেশে রমজানুল মোবারক উৎযাপন করছি। দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষকে স্বদেশে পরবাসীর মত আমাদের জীবন যাপন করতে হয়েছে। মুক্ত অবস্থায়‌ও বন্দিত্বের অভিশাপ নিয়ে আমাদের চলাফেরা করতে হয়েছে। অসংখ্য অগণিত রাজনৈতিক নেতা কর্মী গুম খুন ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। অনেককে দিনের পর দিন মাসের পর মাস ফেরারি জীবন যাপন করতে হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে, রাজনীতি করা কতটা অপরাধ। শুধু রাজনীতি করার অপরাধে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে বনবাদাড়ে ঘুরে বেড়াতে হয়েছে। আমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের শুকরিয়া আদায় করছি যিনি ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশের বুকের উপর চেপে বসা জগদ্দল পাথর স্বৈরাচারী রেজিম ফেরাউনকে উৎখাত করে এই জাতির উপর মহান নেয়ামত দান করেছেন। মুক্ত বাতাসে আমাদের নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ দান করেছেন।

তিনি ২০০৯ সালের পিলখানা ট্রাজেডিতে ৫৭ জন সেনাকর্মকর্তার শাহাদাত, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে শাহাদাত বরণ কারী হেফাজতে ইসলামের বীর তৌহিদী জনতা, ২০১৪-১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতনে শাহাদাত বরণকারী অসংখ্য রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের কুখ্যাত মুসলিমঘাতক নরেন্দ্র মোদীর আগমনকে কেন্দ্র করে সরকারী বাহিনীর সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার হেফাজতে ইসলামের ২৫ জন বীর শহীদান ও সর্বশেষ ২০২৪ এ শাহাদাত বরণ করা অসংখ্য বীর শহীদানের মাগফেরাত কামনা করেন।

ইফতার মাহফিলে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা . শফিকুর রহমান, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমির ড. মাওলানা ঈসা শাহেদী, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, এবি পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মুফতি মনীর হোসাইন কাসেমী, হাবের সহ সভাপতি মাওলানা নূর মুহাম্মাদ, মাওলানা রেজাউল করীম আবরার, মাওলানা রুহুল আমীন সাদী প্রমুখ।

কূটনৈতিকদের মধ্যে চীন, ইরান, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান হাইকমিশনের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

- Advertisement -spot_img
  • সর্বশেষ
  • পঠিত

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত