“মসজিদের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি অপরাধমুক্ত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। কারণ মানুষ যখন নামাজে নিয়মিত হয়, তখন তার ভেতরের অশ্লীলতা, গুনাহ ও খারাপ প্রবৃত্তিগুলো কমে যায়”—এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
শুক্রবার জুমার নামাজের পূর্বে চট্টগ্রামের রাউজানে newly constructed উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে প্রায় ১২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এই মসজিদটি নির্মাণ করে চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ। আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর এই দৃষ্টিনন্দন মসজিদে একসঙ্গে প্রায় ১,২০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।
নির্ধারিত নকশা অনুযায়ী, মসজিদ কমপ্লেক্সে রয়েছে—নারী ও পুরুষদের জন্য পৃথক অজু ও নামাজের স্থান, একটি সমৃদ্ধ ইসলামিক লাইব্রেরি, গবেষণা ও দাওয়াতি কার্যক্রমের সুযোগ, হেফজুল কুরআনের ব্যবস্থা, অতিথিশালা ও বিদেশি পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা, মৃতদেহ গোসলের স্থান, হজযাত্রী নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ সুবিধা, ইমাম ও মুয়াজ্জিনের আবাসন, এবং অফিস কক্ষসহ একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিসান বিন মাজেদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন—গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুল আউয়াল হাওলাদার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আবদুস সালাম খান এবং প্রকল্প পরিচালক মো. শহীদুল আলম।
জুমার নামাজে ইমামতি করেন হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রধান মুফতি মাওলানা জসিম উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অংচিং মারমা, বিএনপি নেতা আবু জাফর চৌধুরী, ডা. বাহারুল আলম, আমাত উল্লাহ চৌধুরী বাবুল, জসিম, শরিফ উল্লাহ শরীফ, কাজী মো. ইব্রাহিম, আমিনুল হক কোম্পানি প্রমুখ।
