মিরসরিয়ান নামক সামাজিক সংগঠন কর্তৃক মিরসরাই,তে “চীনের অর্থায়নে হাসপাতাল চাই ” শিরোনামে এক নাগরিক সংলাপ চট্টগ্রামস্থ একটি অভিজাত রেস্তোরায়গত ৪ /৫/২৫ ইং রোজ রবিবার রাত ৭টায় অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের আহবায়ক সাবেক অতিরিক্ত সচিব নুরুল আলম নিজামী সভাপতিত্বে নাগরিক সংলাপ উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীরের সঞ্চালনায় এতে মিরসরাইয়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বিশেষ করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের যুগ্মসচিব,অন্যান্য সচিব,সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ,অধ্যাপক,বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চ পদস্থকর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনীতিবিদ, সমাজ কর্মী, সংগঠক আইনজীবি সহ সর্বস্তরের জনগন অংশ গ্রহন করেন।
বক্তারা বলেন, মানুষের মধ্যে রোগ অসুস্থতা,আঘাত এবংঅন্যান্য শারীরিক মানসিক প্রতিবন্ধকতা প্রতিরোধ নির্ণয় ,চিকিৎসায় উন্নতি বা নিরাময়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্যের উন্নতি বা রক্ষণাবেক্ষণ করা খুবই জরুরী। স্বাস্থ্য খাত নড়বড়ে হলে সব কিছু মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ে।বর্তমানে মিরসরাই উপজেলার স্বাস্থ্য সেবাখাত নেই বললেই চলে। মস্তাননগর সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নামে যে হাসপাতাল টি রয়েছে তা শুধু নামে মাত্র।
এখানে উন্নত চিকিৎসাসেবা ও আধুনিক সুযোগ -সুবিধা বিন্দুমাত্র নেই।লোক সংখ্যার তুলনায় ১ মাত্র সরকারী হাসপাতাল অগ্রহনযোগ্য।তারা আরো বলেন মিরসরাই হচ্ছে চট্টগ্রাম এর প্রবেশদ্বার এর উত্তরে ফেনী,দক্ষিণে সীতাকুণ্ড উপজেলা ও বঙ্গোপসাগর, পূর্বে ফটিকছড়ি পশ্চিমে সন্দ্বীপ চ্যানেল ও সন্দ্বীপ উপজেলা নোয়াখালী ভৌগলিকগত কারণে বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের খুবই কাছাকাছি হওয়ায় নোয়াখালী,ফেনী,কুমিল্লা অন্যদিকে দক্ষিণ চট্টগ্রাম তথাপি সাতকানিয়া, চকরিয়া এমনকি কক্সবাজার জেলার সকল মানুষ মিরসরাইয়ে চীনের অর্থায়নে হাসপাতাল নির্মিত হলে এর স্বাস্থ্যসেবা সহজে লাভ করতে পারবে।
তাহা ছাড়া চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এশিয়ার সবচেয়ে বৃহত্তম অর্থনৈতিক জোন সহ দুইটি অর্থনৈতিক জোন রয়েছে।জানা যায়,বৃহত্তম জোনে পনর লক্ষ লোকের কর্ম সংস্থান হবে।মিরসরাইয়ের লক্ষ লক্ষ অধিবাসীসহ অবস্থান র ত সকল মানুষের জন্য চীনের অর্থায়নে নির্মিত হাসপাতাল জরুরী।
বাংলাদেশের সব অঞ্চলের চেয়ে মিরসরাইয়ের ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে।আগামী কয়েক দিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্ঠা,স্বাস্থ্য উপদেষ্ঠা,চীন রাষ্ট্রপতি,রাষ্ট্রদুত সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে বিষয়টি অবগত করে যথাযত পদক্ষেপও ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্বান্ত অত্র নাগরিক সংলাপে গৃহীত হয়।
