ঈদুল ফিতরের তিন দিনে ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তবে চলমান তাপপ্রবাহ ও গরমের তীব্রতা কিছুটা কমলেও মাঝারি ধরনের তাপদাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী সোমবার কিংবা মঙ্গলবার উদ্যাপন হতে পারে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এতে ঈদের দিন সারাদেশে ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সকালের দিকে গরম তেমন অনুভূত না হলেও বেলা ১২টার পর মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এতে গরমও একটু বেশি অনুভূত হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ঈদের ছুটিতে তিন দিন শুষ্ক আবহাওয়া থাকলেও সিলেট অঞ্চলে ঈদের দিন বিকেলে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এছাড়া ৩ এপ্রিল থেকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বর্তমানে অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর ও সিরাজগঞ্জে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। রাজধানী ঢাকাসহ বরিশাল, রাজশাহী, খুলনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাঙামাটি ও মৌলভীবাজারের ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে চলছে। যশোর ও সিরাজগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আর মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও রাঙ্গামাটি জেলাসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। ঈদুল ফিতরের দিনও তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানা গেছে। এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যশোরে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা বছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড তাপমাত্রা। আর ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নিয়মিত বুলেটিনে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, আগামী তিনদিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। কোথাও কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়েছে, শনিবার সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। পরদিন রোববার দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমবে। আর সোমবারও দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।