শুক্রবার, আগস্ট ২৯, ২০২৫

লামায় জাল সনদ দিয়ে চাকরি করছেন প্রাথমিকের ৫ শিক্ষক

মোহাম্মদ শামছুদ্দোহা, লামা : বান্দরবানের লামায় জাল সনদে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে চাকরি করে আসছে প্রাথমিকের ৫  শিক্ষক। অবশেষে ধরা পড়েছে  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষগণ । বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) ও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা অ্যাকাডেমির (নেপ) যাচাই বাছাইয়ে ধরা পড়ে ভুয়া সনদ দিয়ে জালিয়াতির এ ঘটনা।
সনদ জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্তরা হলেন- লামা উপজেলার মধুঝিরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান, রোয়াজা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান, পাহাড়িকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো.ইছহাক মিয়া, চিংকুম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাজিব দাশ ও লেমু পালাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গাজী মো.ইসহাক।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এলাকার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সি.এড ও সি.ইন.এড প্রোগ্রামের ভুয়া সনদ দিয়ে ১২ জন শিক্ষক চাকুরি করছেন এমন অভিযোগ আসে। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অভিযুক্ত শিক্ষকদের সি.এড ও সি.ইন.এড.প্রোগ্রামের সনদ যাচাই বাছাই করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছিল।
বাউবির যুগ্ম পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ইঞ্জিনিয়ার এসএম কামরুল আহসানের স্বাক্ষরিত একটি পত্রের মাধ্যমে জানানো হয়,হাবিবুর রহমান,আব্দুর রহমান, মো. ইছহাক মিয়া ও রাজিব দাশের সি.এড প্রোগ্রামের সনদ ভুয়া হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
এ চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি এ চিঠিতে অনুরোধ করেন তিনি। অপরদিকে নেপের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শাহানাজ নূরুন নাহার স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়, লেমু পালাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গাজী মো.ইসহাকের ব্যবহার করা সি.এন.এড.সনদটি ও জাল।
এই বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকতা দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, আমরা এখনো অফিসিয়াল চিঠি পাইনি। কিন্ত এই বিষয়টি শুনেছি পেলে যথাযথ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন খান বলেন,বিষয়টি আমি ইতোমধ্যে অবগত হয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
  • সর্বশেষ
  • পঠিত

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত