নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার জেলা পরিষদের অধীনে ঘাটসহ ২৩টি ইজারা দেওয়াকে কেন্দ্র করে নানান ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। উক্ত কমিটি এখনও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেননি।
তবে গেল ৯ মার্চ সকালে জেলা পরিষদ কার্যালয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ইজারাদারদের উপস্থিতিতে বিষয়টি শুনানী করেছেন। সেখানেও ভুক্তভোগিদের অভিযোগটি পরিস্কারভাবে প্রমাণিত হয় বলে জানান ভুক্তভোগিরা।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আল মারুফ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কক্সবাজার জেলা পরিষদের অধীনে ঘাটসহ ২৩টি ইজারা দেওয়ার আহবান করা হয়েছিল। তার বিপরীতে ১২৪টি ফরম বিক্রি করা হয়। এরমধ্যে ফরম জমা পড়েছে মাত্র ২৯টি।
এরই মধ্যে ওই দুর্বৃত্তের সাথে জেলা প্রশাসন গোপনে আতাঁত করে ইজারাগুলো বাতিল না করে বহাল রাখার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে ভুক্তভোগীরা দাবী করেছেন। এ বিষয়ে জানতে জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, ২ মার্চ দুপুরে কক্সবাজার জেলা পরিষদে ইজারা ডাকের ফরম জমা দিতে গেলে এক দল দুর্বৃত্ত তাদেরকে আটকিয়ে বেপরোয়া মারধর করে। পরে তারা কয়েকজন কর্মকর্তার সহযোগিতায় প্রাণে বেঁচে যান। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পুরো দেশব্যাপী ভাইরাল হয়। শুধু তাই নয়; ঘটনাটি জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই অবগত আছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ডাকাতি করে নেওয়া ইজারা বাতিল করে নতুনভাবে ওপেন দরপত্র আহবানের মাধ্যমে ঘাটগুলো ইজারা দেওয়ার জন্য তারা সংশ্লিষ্টদের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক টেন্ডার স্থগিত করেন।
ইজারাদারগণ সরকারের উন্নয়ন শেয়ার হোল্ডার। ইজারাদারদের স্বচ্ছতার ভিত্তিতে দরপত্র /টেন্ডার বক্স এ আহবানের মধ্যে দিয়ে খেয়া/ লঞ্চঘাট ইজারা পাওয়ার ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীতভাবে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। গেল ৯ ফেব্রয়ারি জেলা পরিষদ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মারুফ কর্তৃক এ ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।